সাম্প্রতিক কালের ‘সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ’ প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কার হিসেবে মিশরের লুক্সোর শহর থেকে প্রাচীন কুড়িটি কাঠের কফিন উদ্ধার করেছেন প্রত্নতাত্ত্বিকেরা। কফিনগুলি প্রায় ৪০০০ বছরের পুরনো বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। তবে ব্যাপক পুরনো হলেও, কফিনগুলি আবিষ্কারের পর সেগুলি দেখে কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন যে, সেগুলিকে যেন এইমাত্র বানিয়ে আনা হল! কারণ, বিন্দুমাত্র পরিবর্তন হয়নি নজরকাড়া নকশায় সজ্জিত এই কফিনগুলির গায়ের রং এবং অলংকরণের।
সরকারিভাবে জানানো হয়েছে, নীল নদের পশ্চিম তীরে থেবান নেক্রপলিসে খুঁজে পাওয়া এই কফিনগুলি অনেক রহস্য বা পুরনো ইতিহাসের দরজা খুলে দিতে পারে। তাই সঙ্গত কারণেই সাম্প্রতিককালের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধার বলে এটিকে অভিহিত করা হয়েছে সরকারি তরফে। যদিও কফিনগুলির বিষয়ে বিশদে এখনও কিছু জানানো না হলেও, খুব তাড়াতাড়ি একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে এই বিষয়ে সারা বিশ্বের সামনে পর্দা উন্মোচন করা হবে বলে আশ্বস্ত করা হয়েছে।
প্রত্নতত্ত্ব মন্ত্রণালয়ের আধিকারিকদের মতে, নীলনদের পশ্চিম তীরে আল-আসায়েফে প্রাচীন মিশরীয়দের সমাধিস্থানের দুই স্তরের বেষ্টনী ভেদ করে উদ্ধার হওয়া এই কফিনগুলো দেখতে এতটাই নতুনের মতো যে, হঠাৎ দেখলে মনে হয় এইমাত্র কেউ সেগুলিকে রেখে গেছে। কিন্তু কফিনগুলি অন্তত খ্রিস্টপূর্ব ১৯৯৪ থেকে ৩৩২ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে সংরক্ষণ করা হয়েছিল বলে গবেষকদের মত। প্রাচীন ফারাওদের সমকালীন মিশরীয় অভিজাত শ্রেণি ও উচ্চপদস্থ রাজ-কর্মচারীদের এই স্থানে সমাধি দেওয়া হত। জানা যায়, আসায়েফের রাজাদেরকেও ৬৬৪ থেকে ৩৩২ খ্রিস্টপূর্বের মধ্যে এই স্থানে সমাধিস্থ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে, ফেরাউন আহমোস, হাটসেপসুট, থুতমোজ তৃতীয়, আমেনহোটেপ তৃতীয়, আখেনাটন এবং তুতান খামেনের কবর।