করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামিল সকলেই। ইতিমধ্যেই নজর কেড়েছে দেশের বিজ্ঞানীদের একাধিক আবিষ্কার। এবার এই তালিকায় নাম লেখালেন আরও দুই বাঙালি বৈজ্ঞানিক। প্রকাশ্যে এল দেশিয় পদ্ধতিতে নতুন টেস্টকিট, FnCas9 Editor Linked Uniform Detection Assay. সংক্ষিপ্ত নাম ‘FELUDA’।
গোটা দেশেই টেস্টকিটের সরবরাহে ঘাটতি প্রবল। হাহাকার স্বাস্থ্যমহলেও। তাই কম খরচে, কম সময়ে টেস্টকিট বানানোর চেষ্টাতেই তৈরি এই কিট।
এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের অধীনস্থ ইনস্টিটিউট অব জিনোমিক্স এবং ইন্টিগ্রেটিভ বায়োলজির বিজ্ঞানী সৌভিক মাইতি ও দেবজ্যোতি চক্রবর্তী। করোনার সংক্রমণের কথা মাত্র একঘণ্টায় বলে দিতে পারবে এই কিট। আর খরচও অবিশ্বাস্য! বিদেশি কিটের খরচ ৪৫০০ টাকা। সেখানে মাত্র ৫০০ টাকা খরচেই বানানো যাবে এই কিট। ফলে বাড়ানো যাবে মাথা পিছু পরীক্ষার হার। আর দ্রুত পরীক্ষার পর পরীক্ষা; এভাবেই সংক্রামিতদের আলাদা করতে পারলে ঠেকানো যাবে গোষ্ঠী সংক্রমণ।
দরকার নেই কোনো বড় পিসিআর যন্ত্রের। যেকোনো স্থানীয় পরীক্ষাকেন্দ্রের ছোট পিসিআর যন্ত্রেই 'ফেলুদা'-র সাহায্যে করা যাবে পরীক্ষা। এমনকি স্কুল, কলেজের ল্যাবের পিসিআরেও। দেবজ্যোতিরা জানান, প্রথমে করোনা ভাইরাসের আরএনএ-কে ডিএনএ-তে পরিবর্তন করা হয়। তার পর পলিমারেজ চেন রিঅ্যাকশন (পিসিআর) মেশিনের সাহায্যে একটি ডিএনএ থেকে তার অসংখ্য কপি (ডিএনএ) তৈরি করা হয়। পরবর্তী ধাপে এর সঙ্গে মেশানো হয় ক্রিসপার-ক্যাস-৯ নামক ব্যাকটেরিয়া প্রোটিন। যা ভাইরাল ডিএনএ-কে চিহ্নিত করে। সংক্রামিত হলে কাগজের স্ট্রিপে ফুটে ওঠে দাগ।
এই প্রযুক্তি নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী দুই বঙ্গসন্তান। বাজারে চলে এলে অনেকটা সহজ হবে শরীরে করোনা চিহ্নিতকরণের কাজ। সেই অপেক্ষাতেই এখন সকলে।