লকডাউন পেরোলে কাজ হারাতে পারেন ভারতের ১৩ কোটি মানুষ!

করোনার জেরে বন্ধ দোকানপাট, অফিস, কারখানা। প্রায় থমকে আছে সব। আক্রান্ত, মৃতের সংখ্যা বাড়ছে, তার সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আতঙ্ক। এরই মধ্যে নতুন শঙ্কার মুখোমুখি দাঁড় করাল অর্থনীতিবিদদের গবেষণা। তাঁদের সাম্প্রতিক সমীক্ষা অনুযায়ী, করোনা এবং লকডাউনের সময় পেরোলেই দেশে প্রায় ১৩ কোটি মানুষ কাজ হারাবেন। অন্তত তেমনই পরিস্থিতি তৈরি হয়ে আছে বলে উল্লেখ করছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন
দারিদ্র্যের সম্মুখীন হতে পারেন ১১ মিলিয়ন মানুষ, ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের রিপোর্টে চাঞ্চল্য

জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সেন্টার ফর ইনফরমাল সেক্টর অ্যান্ড লেবার স্টাডিজ’-এর পক্ষ থেকে এই পরিসংখ্যান ও গবেষণা সামনে এসেছে। অর্থনীতিবিদ সন্তোষ মেহরত্রা ও যযাতি কে পারিদারের এই রিপোর্টে এমন আশঙ্কার কথাই বলা হচ্ছে। এই মুহূর্তে লকডাউনের জন্য সমস্ত কিছু বন্ধ। সমস্ত কারখানা বন্ধ, বেশ কিছু কম্পানি কর্মীদের ঘরে থেকে কাজ করার অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু এই সবের ফলে ছোটো ও মাঝারি শিল্পগুলি ব্যাপকভাবে ক্ষতি হবে। বিশেষ করে যাদের দিনপ্রতি আয়, তাঁরা সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়বেন। উদাহরণ হিসেবে পর্যটন শিল্পের কথা তুলেছেন তাঁরা। অনেক বিদেশি এই সময় ভারতে আসেন। পর্যটন শিল্প থেকে ভারতের অনেক লাভও হয়। এখন পুরো থমকে আছে এই ইন্ডাস্ট্রি। বাজারে গেলেও বোঝা যাবে অবস্থাটা।

আরও পড়ুন
সংক্রমণ রুখতে প্রয়োজন ৪৯ দিনের লকডাউন, গবেষণা বাঙালি বিজ্ঞানীর

যেহেতু এই কটাদিনের জন্য ক্ষতি হবে বিস্তর, তাই একটা বড়ো অংশের হাতে ছাঁটাইয়ের নোটিশ পড়তে পারে। অর্থনীতিবিদদের রিপোর্ট অনুযায়ী, এর মধ্যে অধিকাংশই হবে এই দিনমজুর, ছোটো শিল্পের কর্মীরা। প্রধানত যাঁদের দিন আনি দিন খাই অবস্থা। উল্লেখ্য, করোনার আগেই ভারতের আর্থিক পরিস্থিতি ক্রমশ তলানির দিকে যাচ্ছিল। বেকারদের সংখ্যা বাড়ছিল। এরই মধ্যে ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক করোনার পর বড়ো দারিদ্রের সাবধানবাণী দিয়ে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, বেকারদের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে বলেই মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।

More From Author See More