প্রকৃতিকে বাঁচাতে পশুপালন তো হয়েই থাকে। কিন্তু পশুদের হত্যার উদ্দেশ্যেও পালন করেন অনেকে। যেমন কসাইরা। তবে আফ্রিকার এই বেআইনি পশুপালকরা ছাগল, ভেড়ার মতো সাধারণ প্রাণী হত্যা করে না। তাদের শিকার পশুদের রাজা, সিংহ। সম্প্রতি লর্ড মিশেল অ্যাশক্রফট নামে এক ধনী ব্যবসায়ী তাঁর লেখা বইতে এমনটাই দাবি করেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার ৩৩৩টি খামারে কিভাবে প্রায় ১২০০০ সিংহ 'চাষ' করা হয়, সেই ছবিই এঁকেছেন তিনি।
নানা দেশের জঙ্গলপ্রিয় মানুষ দক্ষিণ আফ্রিকায় ভিড় করেন। প্রকৃতির রূপ উপভোগ করা ছাড়াও অনেকের মনের মধ্যেই থাকে একটি সুপ্ত বাসনা। যদি কোনোভাবে আইনের চোখ এড়িয়ে একটু শিকারে মেতে ওঠা যায়! আর এইসব পর্যটকদের খুশি করতে এগিয়ে আসে এইসমস্ত বেআইনি খামারের মালিকরা। শিকার হয়ে গেলে অবশ্য মৃতদেহের উপর পর্যটকের আর কোনো অধিকার থাকে না। তখন তার চামড়া, কঙ্কাল এবং অন্যান্য দেহাংশ বিক্রি করে দেওয়া হয় আন্তর্জাতিক বাজারে। এশিয়ার বিভিন্ন দেশে প্রচলিত বহু প্রাচীন চিকিৎসা ব্যাবস্থায় এইসব উপাদানের যথেষ্ট দাম আছে।
অ্যাশক্রফটের এই কথায় হয়তো অনেকেই বিশ্বাস করতেন না। কিন্তু তাঁর 'আনফেয়ার গেম' বইতে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর দুটি গোপন অপারেশনের খুঁটিনাটি প্রকাশ করেছেন। আর তার ফলে অবিশ্বাসের জায়গাটা অনেকটাই সরে গিয়েছে। বরং এই নির্মম এবং নৃশংস প্রথার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন সারা পৃথিবীর প্রকৃতিপ্রেমী মানুষ। পরিবেশ বাঁচাতে এখন সবচেয়ে বেশি করে প্রয়োজন প্রাণী সংরক্ষণ। সেখানে এভাবে বিপন্ন প্রাণীদের উপর নির্যাতন, স্বাভাবিকভাবেই আফ্রিকার বন্য পরিবেশের সামনে বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মানুষ।
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
তপন সিংহ চিনেছিলেন খাঁটি রত্ন, যুবক ইরফানকে নিয়ে আজও মুগ্ধ সৌম্যেন্দু রায়