বয়স মাত্র ১০, জ্যোতির্বিজ্ঞানের বই লিখে আলোচনায় কলকাতার কিশোর

বছর দশেকের এক বাঙালি ছেলে। তার চিন্তার জগৎ আর কতদূর প্রসারিত হতে পারে? অভিভাবকরা হয়তো তার হাতে তুলে দেবেন বিজ্ঞান বিষয়ক কোনো বই। কেউ বা সারাক্ষণ খেলার সামগ্রী নিয়েই ব্যস্ত। কিন্তু যদি বলা হয়, বছর দশেকের একটি ছেলে জ্যোতির্বিজ্ঞানের জটিল বিষয় নিয়ে লিখে ফেলেছে আস্ত একটি বই! অবাক হওয়ার মতোই কাণ্ড ঘটিয়েছে গড়িয়ার রেয়াংশ দাস।

সম্প্রতি আমাজন ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে প্রকাশিত হয়েছে নতুন একটি বই। বইয়ের নাম ‘দ্য ইউনিভার্স – পাস্ট, প্রেজেন্ট দ্য ফিউচার’। বিগ ব্যাং থেকে শুরু করে আজকের মহাবিশ্বের পরিণতি, এবং ক্রমশ বাড়তে থাকা এই মহাবিশ্বের শেষই বা কোথায় – এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছে বইটি। বিজ্ঞানের জটিল বিষয়কে সহজভাবে সাধারণ মানুষের বোধগম্য করে বর্ণনা করা হয়েছে বইটিতে। এমন একটা বই লেখা সহজ কথা নয়। আর সেই লেখকের বয়স যদি হয় মাত্র ১০ বছর, তাহলে বিস্ময়ের অন্ত থাকে না।

হ্যাঁ, গড়িয়ার রিয়াংশই এই বিস্ময়বালক। আকাশের সঙ্গে যার পরিচয় মাত্র ৫ বছর বয়সে। তারায় ভরা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে বিশ্বয়ে প্রশ্ন জাগত, তারাদের পরিচয় কী? আর এই নক্ষত্রজগতের মধ্যে তার নিজের অবস্থানটাই বা কোথায়? উত্তর খুঁজতে খুঁজতে রিয়াংশ ডুব দিয়েছিল বিজ্ঞানের অন্দরমহলে। আর পাঁচ বছরের মধ্যেই বিজ্ঞানের জটিল বিষয় তার আয়ত্তে এসে গিয়েছে। রিয়াংশের বাবা-মায়ের কথায়, পদার্থবিদদের সঙ্গে নিয়মিত নানা বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যায় রিয়াংশ। কোথাও কোনো জড়তা বোঝা যায় না।

জ্যোতির্বিজ্ঞানের পাশাপাশি রিয়াংশের আগ্রহ গণিত, তথ্যপ্রযুক্তি সহ বিজ্ঞানের নানা শাখায়। তার মতে, বিজ্ঞান সম্বন্ধে উপযুক্ত সচেতনতাই মানুষকে বর্তমানের যাবতীয় সমস্যার সমাধানের শক্তি জোগাতে পারে। আর সেই সচেতনতা তৈরির উদ্দেশ্যেই তার বই লেখার শুরু। আমাজনে এই বইয়ের প্রতিক্রিয়ায় অনেকেই লিখেছেন যে বইটি অসাধারণ। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন পদার্থবিদের নজরেও পড়েছে বইটি। তবে এসবের মাঝে সে এখন ডুব দিয়েছে তার পরবর্তী বইয়ের কাজে। আর এই বইয়ের বিষয় গণিত। এভাবেই সবাইকে আগামীতেও অবাক করে যাবে রিয়াংশ, এমন প্রত্যাশা করাই যায়।

আরও পড়ুন
সমুদ্রের বুক থেকে প্লাস্টিক অপসারণ ৪ বছরের খুদের!

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
১১ বছরের খুদে মানবাধিকার কর্মীকে খুনের হুমকি কলম্বিয়ায়