ইন্দোনেশিয়ার সমুদ্রতটে বৃহস্পতিবার উদ্ধার হল দশটি বিশালাকার তিমির মৃতদেহ। যদিও স্থানীয়দের উদ্যোগে এগারোতম তিমিটিকে উদ্ধার করে শেষ পর্যন্ত সমুদ্রে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়েছে। এই উদ্ধারকার্যের ভিডিও আপলোড হতেই তা দ্রুতগতিতে ভাইরাল হতে থাকে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কুড়োয় নেটিজেনদের প্রশংসাও।
এ এফ পি-র জল সংরক্ষণ এজেন্সির প্রধান ইকরাম সাঙ্গাদজির কথা থেকে জানা গেছে, সাড়ে ছয় থেকে কুড়ি ফুট দৈর্ঘ্যের এই তিমিগুলিকে পাওয়া গেছে পূর্ব নুসা টেংগারার প্রত্যন্ত অঞ্চলের সমুদ্রতটে। দলের যে তিমিটিকে শেষ অব্দি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে, তার গায়ে দেখতে পাওয়া গেছে গভীর ক্ষতচিহ্ন। সেটি নিজেই সাঁতরে তীরের কাছে এসে তীব্র চিৎকার করছিল।
সাঙ্গাদজির কথায় সম্ভবত এই তিমিটি ছিল ছোটো পাখনার পাইলট তিমি যারা সামাজিক প্রকৃতির হয়ে থাকে। এই তিমিটিকে উদ্ধার করে সমুদ্রে ফিরত পাঠানোর প্রক্রিয়াটি মোটেই সহজ ছিল না। ভিডিওটিতে দেখা গেছে স্থানীয়দের প্রচুর পরিশ্রম করে যথেষ্ট কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে এর জন্য। এটিকে ফিরত পাঠানোর পর বাকিগুলিকে তারা সমাহিত করবার ব্যবস্থা করে।
ধারণা করা হচ্ছে, সম্ভবত তীরের কাছাকাছি বিপজ্জনক সমুদ্রস্রোতের কারণে কোনো ধারালো পাথরের সংস্পর্শে এসেই প্রাণ হারায় তিমিদের এই দলটি। কিন্তু স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় অন্তত একটি তিমির প্রাণ বেঁচে যাওয়ার দৃশ্যটি চাক্ষুষ করে তাদের কুর্নিশ জানিয়েছে সমগ্র নেট দুনিয়া।
আরও পড়ুন
মন্দারমণির সমুদ্রতটে ৩৬ ফুট লম্বা তিমির মৃতদেহ, স্থানীয়দের মধ্যে চাঞ্চল্য
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
৮২ ফুট লম্বা তিমি, প্লাস্টিকের বর্জ্য দিয়ে অভিনব কীর্তি শিল্পীর