সামান্য মজুরিতে কাজ করছেন উচ্চশিক্ষিত যুবক-যুবতীরাও, সৌজন্যে করোনা মহামারী

করোনা ভাইরাস শুধু স্বাস্থ্যক্ষেত্রেই নয়, থাবা বসিয়েছে অর্থনীতিতেও। কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ। আর সম্প্রতি পাঞ্জাবের অর্থনীতির উপর একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর পরিসংখ্যান। দেখা গিয়েছে এই একটি রাজ্যেই ১০ লক্ষ যুবক-যুবতী কাজ হারিয়েছেন লকডাউনের সময়। তাঁরা কেউই যদিও অন্য কাজে যোগ দেওয়ার বয়স পেরিয়ে যাননি, কিন্তু সেরকম সুযোগও মেলেনি এই পরিস্থিতিতে। কেউ কেউ আবার উচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতার পরেও নিতান্ত কম রোজগারের কাজে যোগ দিতে বাধ্য হয়েছেন।

সম্প্রতি একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সূত্রে উঠে এসেছে সরস্বতী নামের এক ২৭ বছরের মহিলার কথা। তিনি স্নাতকোত্তর স্তর পর্যন্ত পড়াশোনা করে একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজে যোগ দেন। কিন্তু করোনা মহামারীর ফলে সেই কাজ খুইয়েছেন। বর্তমানে তিনি একটি কার পার্কিং এরিয়ায় অ্যাটেন্ডেন্টের কাজ করছেন। তাঁর সেই বেসরকারি সংস্থার এক সহকর্মী রূপেশ কুমার নির্মলও অন্য একটি কার পার্কিং এরিয়ায় অ্যাটেন্ডেন্টের কাজ করছেন।

তবে সরস্বতী বা রূপেশের ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটি এবং পাতিয়ালার পাঞ্জাবি ইউনিভার্সিটির পড়ুয়াদের সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে এই পরিস্থিতিতে বেসরকারি এবং অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করা বহু মানুষ এই একই অবস্থার শিকার। আর সেই সংখ্যাটা ১০ লক্ষের কম নয়। সারা দেশের পরিসংখ্যান যে আরও ভয়াবহ হবে সেটা বলাই বাহুল্য।

কিছুদিন আগেই ইন্টারন্যাশানাল লেবার অর্গানাইজেশনের সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে সারা দেশে ৪১ লক্ষ মানুষ কাজ হারিয়েছেন। অবশ্য এই সংখ্যাটা কেবলমাত্র উল্লেখযোগ্য ইউনিয়নগুলি থেকে পাওয়া তথ্যের উপর নির্ভর করেই জানা গিয়েছে। সব মিলিয়ে সংখ্যাটা ২ কোটির বেশি হবে বলেও মনে করছেন কেউ কেউ। পাঞ্জাব সরকার অবশ্য এর মধ্যেই কর্মমেলা শুরু করার কথা জানিয়েছেন। এই মাসেই তা অনুষ্ঠিত হবে। এর ফলে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান সম্ভব হবে বলেও মনে করছে সরকার। তবে পরিস্থিতির প্রকৃত সমাধান কীভাবে সম্ভব, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো নির্দেশ দিতে ব্যর্থ নীতি নির্ধারকরা।

আরও পড়ুন
আনলক পর্বেও অব্যাহত কর্মীছাঁটাই, আগস্টে কাজ হারিয়েছেন ৩৩ লক্ষ

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
লকডাউনে কাজ হারিয়েছেন দেশের ১.৮ কোটি স্থায়ী চাকরিজীবী, জানাচ্ছে সমীক্ষা