গত পাঁচ বছরে বিভিন্ন অঞ্চলে নির্মাণকার্য এবং উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য জমির চাহিদা মেটাতে প্রায় ১ কোটি ৭৬ হাজার গাছ কেটে ফেলা হয়েছে ভারতীয় ভূভাগে। যার মধ্যে শুধুমাত্র ৩০.৩৬ লক্ষ গাছ কাটা হয়েছে ২০১৮-১৯ সালেই। যা গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ২০১৯-২০ সালে এই সংখ্যা ছিল ১২.৬৩ লক্ষ। সম্প্রতি, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী রাজ্যসভায় পেশ করেন এই তথ্য। আর এই রিপোর্ট ঘিরেই শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য।
বৃক্ষচ্ছেদনের দিক থেকে প্রথমেই রয়েছে তেলেঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড় এবং মহারাষ্ট্র। তবে ২০১৫ সাল থেকে রাজধানী দিল্লি হারিয়েছে মোট ৩,২৩6 টি বৃক্ষ। যা অনেকটাই কম। তবে সরকারি বিভিন্ন আইন ও বিধি অনুসরণ করেই এই বৃক্ষচ্ছেদনের প্রক্রিয়া হয়েছে বলেই দাবি করেন পরিবেশমন্ত্রী। ক্ষতিপূরণ হিসাবে বন সংরক্ষণ আইন অনুসারেই অপসারণের চেয়ে বেশি সংখ্যক বৃক্ষরোপণ করা নিশ্চিত করেছে সরকার। এই উদ্যোগে সাহায্য করেছে বন দপ্তরও। বনভূমি সংরক্ষণের এই সাফল্য সাম্প্রতিক দ্বিবার্ষিক সমীক্ষায় প্রতিফলিত হয়েছে বলেই জানান তিনি।
২০১৯ সালের এই সমীক্ষা অনুযায়ী ২০১৫ সালের তুলনায় ভারতে বনভূমির আয়তন বেড়েছে ১৩,২০৯ বর্গ কিলোমিটার। জাতীয় সবুজায়ন কর্মসূচির আওতায় পরিবেশ মন্ত্রণালয় ২০১৯-২০ সালে রাজ্যগুলিকে ২২ কোটি টাকার অনুদান দিয়েছিল। এই বছরে গ্রিন ইন্ডিয়া মিশনের আওতায় এই প্রকল্পকে আনতে কেন্দ্র বরাদ্দ করেছে ১১৯ কোটি টাকা।
তবে এই রিপোর্টের পরেও বেশ কিছু বিক্ষিপ্ত ছবি সারা বছর ধরে সামনে এসেছে। গোয়া কিংবা মহারাষ্ট্রে অনেক নির্মাণকাজের জন্য কাটা পড়া বনভূমির ক্ষতিপূরণে ব্যর্থ বেশ কিছু সংস্থা। সেই বিষয়ে সেভাবে কিছুই উল্লেখ করেননি কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী। পাশাপাশি সবুজ বৃদ্ধিতে অলাভজনক পরিবেশকর্মীদের ভূমিকাই বা কতটা, তা অস্পষ্ট...
Powered by Froala Editor